মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:৪৭ অপরাহ্ন
নবাবগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে “সমলয় পদ্ধতি” নামে আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক ধান চাষ। এই পদ্ধতিতে যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে সময়, শ্রম ও খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
সমলয় পদ্ধতিতে মেশিনের মাধ্যমে ধানের চারা রোপণ, কর্তন ও মাড়াই করা হয়। এতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় জল, সার ও শ্রমিকের খরচ কম লাগে, আবার ফলনও বেশি হয়। বিশেষ করে ব্রি ধান-৮৯ (বোরো মৌসুমের জন্য উন্নত জাত) চাষে এই প্রযুক্তি কার্যকর প্রভাব ফেলছে।
সোমবার দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের তেলেঙ্গা এলাকায় ৫০ একর জমিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বোরো ধান (ব্রি ধান-৮৯) কর্তনের উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি পুনর্বাসন সহায়তায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আছমা জাহান বলেন, “সমলয় পদ্ধতির যান্ত্রিকীকরণে কৃষকরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন। এতে উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি সময় ও খরচ কমছে।”
প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান বলেন, “জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তাই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। এই পদ্ধতি অন্যান্য এলাকাতেও ছড়িয়ে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, “যান্ত্রিকীকরণ ছাড়া কৃষির উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমলয় পদ্ধতি কৃষকদের আয় ও উৎপাদনশীলতা—দুই-ই বাড়াবে।